ম্যাম সাহেব 🙂 লেখক:-আরফান চৌধুরী Part:-05

ম্যাম সাহেব 🙂

লেখক আরফান চৌধুরী 

পার্ট:-5

আমি সকালে ছাদে বেশ একটু শান্তি করে ঘুমিয়ে আছি তখন কেউ একজন আমার গায়ে পানি ঢেলে দিলো।আমি প্রচন্ড রেগে গিয়ে উঠে দেখি ঐশী।আমার প্রচুর রাগ হলো।সাথে কষ্টও পেলাম।ও কেন এভাবে মায়া‌. বাড়াচ্ছে।

আমি সোজা উঠে রুমে. গেলাম।গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রুমে শুয়ে আছি।তখন আবার ঐশী আসলো।তখন আমি আবার উঠে বাহিরে এসে বসলাম।

তখন ঐশী এসে পাশে বসলো।আব্বু আসলো আমি উঠতে লাগলাম।তখন আব্বু যেতে নিষেধ করলো।আমি মাথা নিচু করে বসে রইলাম।যানিনা এয় মেয়েটা কেন এভাবে মায়া বাড়াচ্ছে।

আমিঃ আব্বু আমার কিছু পড়তে হবে।

আব্বুঃ আচ্ছা তাইলে গিয়ে পড়।

আমি তারাতারি উঠে চলে আসলাম।বেশ কিছুক্ষণ পর ঐশী আসলো।আমি উঠে যেতে লাগলাম।তখন ঐশী আটকিয়ে।

ঐশীঃ রাগ করেছিস আমার উপর।

আমিঃ...........না।

ঐশীঃ মিথ্যা বলিস।তা কথা বলছিস না কেন?

আমিঃ মায়া বাড়াতে চাইনা।মায়া কাটাতে চাই।আর আপাতত এভাবে বিরক্ত না করলে খুশি হতাম।

ঐশীঃ ওও. বিরক্ত হচ্ছিস?

আমিঃ কিছুটা।আ‌মি ভুলে থাকতে চাই।

ঐশীঃ তাই বুজি?

আমিঃ হুম।

ঐশীঃ আমি তোর কথায় রাজি হয়ে তোকে ভালোবাসলে।এতক্ষন আমার সাথে কত সুন্দর সুন্দর করে কথা বলতিস।কত সুন্দর ভাবে কাছে ডেকে নিতিস।কিন্তু আমি রাজি হয়নি তাই দুরে সরিয়ে দিচ্ছিস।ভালো।

আমিঃ আমি আপনার এসব ফালতু কথা শুনতে চায় না।থার্ড ক্লাবের ছেলেরা ফালতু কথা শোনে না।

ঐশীঃ হি হি হি হি,আমার বলা কথা দিয়ে আমাকে খোটা দিচ্ছিস?

আমিঃ আরে এটা তো সত্যি।এতে খোটা দেওয়ার কি আছে?

ঐশীঃ হুম।সেটাই।এটা তো যুগ যুগ ধরে বয়ে চলে আসছে।এখন আমি যদি তোকে বলি আমি তোর ভালোবাসা গ্রহণ করেছি তখন তুই আরো কথা শুনাবি।আর তুই তো রাজি হবিই না।

আমিঃ আচ্ছা এসবই ছাড়া আপনার কি আর কোনো দরকার আছে?থাকলে বলুন আমার কাজ আছে?

ঐশীঃ তোর আবার কি কাজ?

আমিঃ একটা থার্ড ক্লাস ছেলের অনেক কাজ থাকতে পারে হোক সেটা ভালো বা খারাপ।

ঐশীঃ বাব্বাহ আরফান কথা শিখে গেছে।

আমি চলে যেতে লাগলাম।তখন ঐশী আমার হাতটা টেনে ধরলো।

ঐশীঃ কিছু কথা আছে শোন তারপর আমি চলে যাচ্ছি।

আমিঃ কি কথা?

ঐশীঃ আমি তোকে একটা বন্ধু ভেবেছি।অনেক অনেক ভালো একটা বন্ধু।বলতে গেলে সবথেকে কাছে একটা বন্ধু।আর তুই আমাকে ভালোবেসেছিস।কিন্তু আমি রাজি হয়নি তাই তুই বন্ধুতের সম্পর্কটা নষ্ট করে দিচ্ছিস!

আমিঃ আআআসলে......

ঐশীঃ না থাক।আর বলা লাগবে না।

আমিঃ আমি কিছু বলি।ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয় বন্ধুতের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে।যে সম্পর্কে বন্ধুত্ব নেই সেই সম্পর্ক খুব বেশিদিন টিকতে না,আর টিকলেও অনেকটা অবিশ্বাস আর মনমালিন্য এর ভেতর দিয়ে সেটা বয়ে চলে।যার কোনো ভিত্তি নেই।একটা বন্ধুত্ব পারে একটা ভালোবাসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।দুজনকে সুখি রাখতে।

ঐশীঃ আবার নড়ে চড়ে ভালোবাসা।খাড়া বড়ি থোর ,থোর বড়ি খাড়া।

আমি তোকে ভালোবাসবো না।একদম আমার সাথে কথা বলবি না।আমার সামনে আসবি না।

আমিঃ কে আপনার সামনে গিয়েছে।আপনি আমার রুমে দারিয়ে আমাকে বলছেন আমার সামনে আসবি না।

ঐশীঃ ওএটা তো আবার তোর রুম।

আমিঃ না না এটা আপনার বাবার রুম আমাকে দান করেছে।

ঐশীঃ ঠিক আছে আমি তোর সাথে কথা বলবো না তুই আমার সাথে কথা বলবি না।

আমিঃ ওকে ডান।

ঐশীঃ থাকতে পারবি কথা না বলে ?তুই না আমাকে ভালোবাসিস?

এয় তোর ভালোবাসা।যাহ কোনোদিন বলবি না আমার সাথে কথা।

আমিঃ আমার রুমে কখনো আসবি না আর চলে যাহ।

ঐশী রাগ করে চলে গেলো।আমার দায় পড়েছে ওর সাথে কথা বলতে।হুম।আমার রাগ আছে।জন্মের পর ১২ -১৩ মাস কারর সাথে কথা বলিনাই😉।আমি রুমে আবার শুয়ে পরলাম।আর একটু বাদে কলেজ যামু।আমি যেমন ভালোবাসছি।ঠিক তেমনই কথা না বলে থাকবো।আমার ইগো যে কতটা খারাপ হয়তো ঐশী যানে না।

আমি কিছুক্ষণ পর কলেজ চলে গেলাম। কলেজ থেকে বাসায় আসলাম।এসে খেয়ে লাগলাম।তখন ঐশী আসলো খেতে।পেট ভরে গেছে তাই মি্থা রাগ দেখিয়ে আমি প্লেটে রাগ করে হাত ধুয়ে চলে আসলাম।কিন্তু আজব ব্যাপার হলো ঐশী আমার দিকে তাকালো পযন্ত না।

না তাকাক গে।আমি রুমে শুয়ে শুয়ে ফেসবুকে গুতাগুতি করছি।বেশ কিছুক্ষণ পর দেখি ঐশী দৌরে আসলো।কিন্তু দরজার মুখ পযন্ত এসে আবার দৌরে চলে গেলো।হয়তো ভুলে গেছে যে আমাদের ঝগড়া আছে।হুমমমউ।আমি বিকালে ছাদে গেলাম।গিয়ে দেখি ঐশী ছাদে আমি ছাদ থেকে নেমে আসলাম।

রাতে খেতে গিয়ে হলো ঝামেলা।আমাকে খেতে ডাকলেন আব্বু।গিয়ে দেখি কোনো চেয়ার খালি নেই।ঐশীর পাশেই একটা চেয়ার খালি।আব্বু বসতে বললো।আব্বু বলেছে অমান্য করার সাধ্য আরফানের নেই।মাথা নিচু করে বসে পরলাম।আমি ঐশীদ দিকে তাকালাম।কিন্তু আমি যে ওর পাশে বসেছি ওর কোনো রিয়েকশন নেই।একাভাবে খেতে লাগলো।

দাদিঃ কিরে তোরা যে আর ঝগড়া করছিস না?ভালো হয়ে গেলি নাকি?

আন্টিঃ হ্যাঁ সাপে নেউলে আবার বন্ধুত্ব।হয়তো বড়শড় কোনো মারপিট করবে তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আমি কোনো কথা না বলে খেয়ে চলে আসলাম।রুমে শুয়ে আছি।একটু একটু কষ্ট হচ্ছে।ঐশী কত দুষ্টুমি করতো কিন্তু এখন কথা বলে না।খারাপ লাগে।তবুও কিছু করার নেই।কপালে যা আছে।

এভাবে এক সপ্তাহ পার হয়ে গেছে।না আমি ঐশীর সাথে আর ঐশী আমার সাথে কথা বলছে না।খারাপ লাগলেও সহ্য করেছি।আমার ইগোটা বেশি।আমি যদি গিয়ে বলি এয় ঐশী রাগ করিস না।এটা বললেই সব ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তু আমার ইগো বলে ও তো বলতে পারে সে যখন বলছে না তো তুই কেন বলিস ।এভাবেই দুরত্ব বেড়ে চলেছে।(বাস্তব এ এই কারণ এ কিছু কিছু সম্পর্ক নষ্ট হয়)

এক সপ্তাহ পর একদিন সন্ধ্যার বাসায় আসতেছি।বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে।তখন রাস্তার কোনা ঘুরতে গিয়ে একটা মোটর সাইকেল চলে আসলো।নিজেকে রক্ষা করার জন্য লাফ দিয়ে সাইডে সরে যেতে গিয়ে রাস্তায় থাকা খুটির সাথে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যাই।কপালথ মনে হয় বেশ খানিকটা কেটে গেছে।হাত দিয়ে দেখি রক্ত আসছে।আমি একহাত দিয়ে কপালটা চেপে ধরে কষ্ট করে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আসার পর আমার এয় অবস্থা দেখে সবাই দৌরদৌরি শুরু করে দিলো।আমাদের বাসার পাশের বাসা ডাক্তার কাকুর বাসা।আব্বু ডাক্তার কাকুর ডেকে মাথায় ব্যান্ডেজ করিয়ে নিলেন।সবার সাথে বললাম,কিভাবে এটা হয়েছে।সবাই আমার পাশে বসে আছে।গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।দাদি তো কান্না করেছে।আম্মু বকা দিলো।

আম্মুঃ যেতে নিষেধ করি তবুও শুনবে না।আমি কে যে আমার কথা শুনবে।

কিন্তু আজব আর ভাবনার বিষয় হলো,ঐশী আমার পাশে আসেনি।ওই অন্য পাশে একটা চেয়ারে বসে বসে আপন মনে ফোন টিপে। এতো স্বার্থ পর মেয়ে যে একটু তাকালো পযন্ত না আমার দিকে আমার মাথায় যে এতক্ষানি কেটে গেলো।এসে দেখলোও না।এতোটা পাশান । 

মাথায় লাগছে তো তাই মাথা ব্যথা করছে।আমি বললাম মাথা ব্যথা করছে।তাই তারাতারি রুমে শুয়ে দিলো।

আমি খুব তারাতারি ঘুমিয়ে পরলাম।

মধ্যে রাতে কারর কথার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল।কন্ঠটা ঐশীর।অনুভব করলাম।সে আমার মাথায় পট্টির উপর আলতো করে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।খাটের নিচে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।মুখটা আমার মাথার কাছে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।

ঐশীঃ আরফান অনেক বড় হয়ে গেছে।আগে সামান্য ব্যাথা পেলে কতো কান্না করতো।আর বারবার বলতো ,এয় ঐশী দেখ কতটা ব্যাথা পেয়েছি ঠোঁট ফুলিয়ে কত আবদার করতো।আর কত বিরক্ত করতো। এখন আর কথা বলে না।এতে আবার ও নাকি আমাকে ভালোবাসে।আরে যদি ভালোবাসিস তাহলে এক সপ্তাহ কথা না বলে তুই কিভাবে আছিস আরফান?তোর কি কষ্ট হয়না।কেন বলিস না,এয় ঐশী কথা বল আমার সাথে ,তাহলে আমার সব রাগ চলে যাই।তোর সাথে কথা না বলতে পেরে খুব কষ্ট হচ্ছে রে।তুই বুজিস না।ওও তুই তো এখন আবার বড় হয়ে গেছিস।আচ্ছা আমিও দেখবো তোর রাগ কতটা।আমিও আর আগে কথা বলবো না তাতে যদি মরেও যাই। মাথায় খুব লাগছে না রে?আমার খুব কষ্ট হয়েছে ইগোর কারনে তোর সেবা করতে পারিনি।দেখবি তুই খুব তারাতারি সুস্থ হয়ে যাবি।আরফান তোকে আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ভাবতাম।আর তুই যাকগে সব আমার কপাল।

ঐশী আমার কপালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল আর কথা গুলো বলছিলো।ঐশী চোখের পানি মুছে চলে গেলো।ঐশীকে ডাকদিতে মন চাইছিলো।কিন্তু মুখ দিয়ে যেন কথা বের হলো না।

আমি এবার বুজলাম ঐশীও আমাকে ভালোবাসে সেটা ঐশী নিজেও জানেনা। খুব ভালো লাগছিলো।যখন ও আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল। মেয়েটা আমার সাথে কথা বলতে না পেরে প্রচন্ড কষ্টে আছে হয়তো।আর আমিও কেমন পিসাচ যাকে ভালোবাসি তার সাথে কথা বলছি না।তার রাগ ভাঙাচ্ছি না।

সকালে একটু দেরিতে ঘুম ভাঙলো।মাথাটা এখনো একটু ভার হয়ে আছে।আমি আস্তে আস্তে উঠে বসলাম।খুব সাবধানে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসতে লাগলাম।মাথায় লাগছে তো হাটতে পারছি না।সিরি দিয়ে নিচে নামতে যাবো।তখন ঐশীও উপরে আসছে।আমাকে দেখে আসতে আসতে উঠতে লাগলো।হয়তো কিছুটা নার্ভাস হয়ে গেছে।আমি নিচে নামতে পারছি না।সিড়িতে বসে পরলাম।আমি ভাবলাম ঐশী হয়তো আমাকে নিচে নামতে সাহায্য করবে।কিন্তু আমাকে না দেখার ভান করে উপরে চলে গেলো।দিয়া এসে আমাকে ধরে নিচে নিয়ে গেলো।আমি নিচে গিয়ে বসলাম।

অবাক করা বিষয় ঐশী আমার দিকে তাকালো পযন্ত না।কিন্তু রাতে গিয়ে ওভাবে,মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো যে কেন? আমি খেয়ে দেয়ে আবার দিয়ার সাহায্য নিয়ে রুমে চলে গেলাম।আমি রুমে গিয়ে শুয়ে আছি,তবে ভাবনার বিষয় হলো এটা যে আমার রুমটা তো অগোছালো ছিলো।পরিষ্কার করে সুন্দর ভাবে কে গুছিয়ে দিলো? আম্মু দেবে?নাতো আম্মু তো আমাকে খাইয়ে দিয়েছিলো।কে করতে পারে. ঐশী?ঐশী শুধু উপরে ছিলো।

আমি শুয়ে আছি।ঘুমাইনি তবে চোখ বন্ধ করে আছি।খেয়াল করলাম কেউ যেন আমার দরজার পাসে দারিয়ে আছে।দরজার পর্দা দেওয়া।সেই পর্দার আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে আমাকে দেখছে।আমি আন্দাজে নিশ্চিত হলাম ওটা আর কেউ না ঐশী।একবার কি ডাক দেবো না থাক।

আমি শুয়ে আছি তখন দাদি আমার রুমে আসলো।

আমিঃ কি হয়েছে দাদি।

দাদিঃ কেমন লাগছে এখন দাদুভাই।

আমিঃ বেশ আগের থেকে অনেক সুস্থ লাগছে।

দাদিঃ তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে দাদু।

আমিঃ হুম দাদি বলো।

দাদিঃ তা তোর আর ঐশীর মধ্যে কি কোনো ঝগরা হয়েছে?

আমিঃ কই ?

দাদিঃ না তো কিছু একটা তো হয়েছে।তা না হলে ঐশী আর তোর সাথে কথা বলছে না।আর তুইও তো ঐশীর সাথে কথা বলছিস না?

আমিঃ না না না তেমন কিছু হয়নি।

দাদিঃ আমার কাছে লুকাস না সত্যি করে বল।

আমিঃ সত্যি বলছি তেমন কিছু হয়নি।

দাদিঃ আচ্ছা তুই কি ঐশীকে ভালোবাসিস ? সত্যি করে বলবি। আমার দিকে তাকিয়ে বল।

আমিঃ দাদি ছাড়োতো ওসব কথা ।

দাদিঃ আমার সাথে বল দাদুভাই।আমি তোর লাইন ক্লিয়ার করে দিতে পারি।

আমিঃকি ক্লিলিয়ার করে দেবে দাদু।

দাদিঃ তোদের বিয়ে দিয়ে দেবো।

আমিঃ না না এসব করতে যেও না।ঐশী বিদেশ থেকে আসছে।আমার মতো ছেলেকে বিয়ে করবে কখনো?

দাদিঃ তুই রাজি কি না বল।ওরে আমি রাজি করাবো।

আমিঃ না দাদি আমি ওর যোগ্য না।

দাদিঃ ঐশীকে তোর পছন্দ হয় কি না বল।

আমিঃ না হয়না ।আমি ঐশীকে পছন্দ করি না।আর ভালোওবাসিনা।

দাদি হাসতে হাসতে চলে গেলো।আ‌মি কি এমন বললাম।ধুর আমার তো ইচ্ছে করে ঐশীর আপন জন হতে , কিন্তু ইচ্ছা করলেই কি আপন হওয়া যাই।

এভাবে শুয়ে শুয়ে বোর হচ্ছি। বেশ কিছুক্ষণ পর দুপুরে দিয়া আমাকে নিচে নিয়ে গেলো খাওয়ার জন্য।আমি চেয়ারে বসে আছি।ডানপাশে আব্বু এসে বসলো। আর অন্য পাশে ঐশী।কারর দিকে তাকাতে পারছি না।প্লেলেটের দিকে তাকিয়েই খেতে লাগলাম।খুব দ্রুত খেয়ে উঠে যেতে লাগলাম।

আব্বুঃ আরফান বসো কিছু কথা আছে!

আমি মাথা নীচু করে সম্মতি দিয়ে বসে পরলাম।সবার খাওয়া শেষ।

আব্বুঃ আমরা একটা বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছি।আর আশা করি সবাই সেই সিদ্ধান্ত পছন্দ করবে।

আমিঃ কি সিদ্ধান্ত?

আব্বুঃ অনু তুই বল।

আন্টিঃ না ভাইয়া তুমি বলো।

আব্বুঃ আরফান আমি যানি তুমি আমার কোনো কথা আজ পযন্ত অমান্য করোনি।আর এটাও করবে না।

আমিঃ আমি সব কথা শুনবো আব্বু!কি কথা।

আব্বুঃ তোমার বিয়ে ঠিক করেছি।তোমার মত আছে তো?

কথাটা শুনেই শকড্ খেলাম।ঐশী আমার দিকে তাকিয়ে পরলো।আজকের চাহুনিতে ‌মায়া আছে।

আমিঃ হুম।(মেয়েদের. মতো মাথা নেড়ে সম্মতি দিলাম।)

আন্টিঃ মেয়ে কে না জেনেই মত করে দিয়েছো।

আমিঃ আব্বু যা দেবে তাই আমি মাথা পেতে নেবো।আমার মেয়ে দেখার দরকার নেই।

আন্টিঃ মেয়ে কে বলোতো?

আমিঃ কে?

আন্টিঃ তুমি নিজেই দেখে নাও।তোমার পাশে বসে আছে।

আমি সাথে সাথে ঐশীর দিকে তাকিয়ে পরলাম।ঐশী ?ও রেগে গেলেন।একটু আগে যে চোখে মায়া ছিলো ,এখন সেই চোখে রাগ।

আমিঃ আব্বু আসলে এয় বিয়েটা।

আব্বুঃ খুব তারাতারি হবে।এবং অনেক ধুমধাম করে দেওয়া হবে।

আন্টিঃ যাক তাহলে বাহিরের ছেলেদের. আর আনতে হলো না।

আম্মুঃ হুম আমাদেরও আর অন্য কাউকে বৌমা বানাতে হলো না।আমাদের মেয়েই আমার বৌমা।

দাদিঃ তোরা দুজন আলাদা ভাবে কথা বলে নিজেদের মধ্যে মিল ঝিল করে নে।আর একটু প্রেম টেম।

আমিঃ কি যাতা বলছো দাদি?

আন্টিঃ ঐশী আরফান কে ধরে উপরে নিয়ে যা।ওর মাথায় ধাক্কা লাগে না যেন।

আমিঃ না আমি একাই যেতে পারবো।

আন্টিঃ ঐশী ওরে ধরে নিয়ে যা ও এখন ভালোকরে হাটতে পারছে না।

সবার জোরাজুরিতে ঐশী আমার হাত ধরে উপরে নিয়ে গেলো।সিরিতে ঐশী আমার হাতটা. অনেক সুন্দর ভাবে ধরে নিয়ে গেলো।কত সুন্দর ভাবে ধরেছে ।

আমি উপরে একটা. চেয়ারে বসে পরলাম।

এভাবে প্রায় ৩০ মিনিট বসে রইলাম।কিন্তু কেউ কারর সাথে কথা বললাম না।

ঐশী অন্য দিকে একটা বেন্সে বসে রইলো।দুজনকে কথা বলার জন্য পাঠিয়েছে।কিন্তু কেউ কারর মুখ ও দেখছি না।আর আমি ছেলে আমি আগে কেন কথা বলবো।

ও তো আগে কথা বলতে পারতো কিন্তু বলে না।তো আমিও বললাম না।

আমি আস্তে আস্তে রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম।খানিকক্ষন পর দিয়ে আসলো।

পর্বটা কেমন লাগলো সবাই কমেন্ট করে জানাবেন।

বিঃদ্রঃ আপনারা যদি nice. Next, বা ইস্টিকার কমেন্ট না করে গঠন মূলক কমেন্ট করলে খুশি হতাম।

আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাকে গল্প লিখতে সাহায্য করে।

ভুল ক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

 

#চলবে,,,,,,,,,,

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

Smartwatch

Random Products