ম্যাম সাহেব 🙂
লেখক আরফান চৌধুরী
পার্ট:-4
আমি তো আব্বুর সামনে গিয়ে ভয়ে কাপতাছি।যানিনা ঐশী আব্বুকে কিছু বলেছে কি না।এয় মেয়েকে তো বিশ্বাস নেই।
আব্বুঃ আজকে তোমার অনু আন্টি আসতেছে।তুমি আর ঐশী যাও গিয়ে রিসিভ করে নিয়ে আসো।
আমিঃ ঐশী আর আমি?ওই।
আব্বুঃ আর কোনো কথা নয় যাও গিয়ে নিয়ে এসো।
আমি মাথা নেড়ে সম্মতি সূচক ভাবে উওর দিলাম।
মিমঃ আচ্ছা তারাতারি চলোরে ।
আমি গিয়ে গাড়িতে বসলাম।গাড়ি চলতে তার আপন গতিতে।আমি মিমের দিকে তাকালাম।সে আপন মনে ফোন টিপে চলেছে।বাহিরে কত সুন্দর পরিবেশ।কিন্তু আমার যেন ঐশীর দিকে তাকাতে বেশি ভালো লাগছে।
আমি ঐশীর দিকে তাকিয়ে রইলাম।
ঐশীঃ ওই বাদর তা কয়টা মেয়ে উওর দিলো রে।
আমিঃ আপনি সবসময় ফাজলামি করেন কেন?
ঐশীঃ আচ্ছা তুই কি আপনি বলা বন্ধ করবি না।তোর মুখ থেকে আপনি শব্দটা শুনতে ভালো লাগে না।কেমন একটা পর পর মনে হয়।আগে তুই করে বলতিস কেমন একটা মায়া ছিলো।আর এখন পড় মনে হয়।
আমিঃ মায়া বড়ই অদ্ভুত একটা অনুভূতি।যা ধরা যায়না ছোয়া যাইনা।তবুও কেন যানি সবাই মায়াই পরে।
ঐশীঃ এতো সুন্দর কথা শিখলি কেমনে?
আমিঃ হুম।
ঐশীঃ আচ্ছা তোর রাগ হয় না আমার উপর।
আমিঃ কেন?
ঐশীঃ এয়যে এতো বিরক্ত করি।
আমিঃ হয় তো।
ঐশীঃ আমি সবসময় তোকে বিরক্ত করবো।মরে গিয়ে ভুত হয়ে তোর জানালার পাশে গাছের ডালে বসে তোরে ভয় দেখাবো।রাতে রাস্তা দিয়ে গেলে,গলা ধরে উচু করে রাখবো।হি হি হি হি হি।
আমি ঐশীর দিকে তাকালাম।আচ্ছা ঐশী এটা বলছে।ও আমাকে সারাজীবন বিরক্ত করবে তারমানে ও আমাকে কি ভালোবাসে?
ঐশী হয়তো আমাকে ভালোবাসে তা না হলে এতো বিরক্ত করে ।সবসময় পেছনে লাগে।আর রাগ করে বকা দিলেও ও রাগ করে না।কিন্তু কিছু বলে না তো।
ঐশীঃ ওই ঝিঙ্গা কি দেখিস।
আমিঃ ঝিঙ্গা কে?
ঐশীঃ কেন তুই!
আমিঃ আমার আর কত নাম দেবেন?
ঐশীঃ আমার যতগুলো মনে আসবে ততগুলো।যখন যাহ ইচ্ছে হবে তাই বলে ডাকবো।
আমিঃ ইয়ারপোটে পৌঁছে গেছি চলুন।
ঐশীঃ হুম চল।
আমরা গাড়ি থেকে নেমে অপেক্ষা করতে লাগলাম।অনু আন্টি আর জামাইবাবুর জন্য।
১২টার দিকে তারা আসলো।
ঐশী অনু আন্টিকে দেখেই দৌরে তার কাছে গেলো।আর আমি পেছন পেছন।
আমিঃ কেমন আছেন আন্টি?
আন্টিঃ ভালো আছি।তুমি আরফান না?
ঐশীঃ হ্যাঁ ওই সেই বলদটা।
আন্টিঃ ওভাবে বলছিস কেন? কত বড় হয়ে গেছো।তোমাকে কত ছোট দেখেছিলাম।
আমিঃ হুম।আচ্ছা চলুন তারাতারি।বাসায় যাই।
আমরা গাড়িতে বসে বাসায় আসতেছি।আসার পথে আন্টি টুকটাক কিছু কথা জিজ্ঞেস করছিলো।এভাবে গল্প করতে করতে বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় আসার পর আন্টি আর জামাইবাবুকে দেখে সবাই অনেক খুশি হলো।অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।গোছল করে শুয়ে আছি।কিছুক্ষন বাদে ঐশী আসলো।আচ্ছা এয় মেয়েকে দেখতে এতো ভালো লাগছে কেন?
ঐশীও এখন গোছল করেছে।ভেজাচুল থেকে পানি পড়ছে টিপ টিপ করে।ইচ্ছে করছে ঐশীর চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে আবার নিজেই শুকিয়ে আঁচরে দিতে।কিন্তু ইচ্ছে করলেই যে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
ঐশীঃ ওই শুটকো পটল।শুয়ে আছিস কেন?
ঐশীর এয় অদ্ভুত অদ্ভুত নামে ডাকে শুনতে বেশ ভালোই লাগছে।আমি ভেবে ছিলাম।ঐশী বিদেশ থেকে আসলে হয়তো খারাপ আচরণ করবে।অহংকার থাকবে মনে ,কিন্তু এয় তো সেই আগের মতোই আছে।ঠিক সেই আগের ঐশী।
ঐশীঃ কই কোথায় হারিয়ে গেলি।
আমিঃ কোনো দরকার নাকি?
ঐশীঃ চল খেয়ে চল।
আমিঃ আপনি যান আমি আসতেছি।
ঐশীঃ তারাতারি আয়।আম্মু ডাকে সবাই একসাথে খাবো।তোর জন্য সবাই বসে আছে।
আমিঃ আচ্ছা।
ঐশী চলে গেলো।আমি মুগ্ধ পানে তাকিয়ে রইলাম।দেখতে লাগলাম ঐশীর লম্বা ভেজা চুল।চুলের থেকে পড়া পানি আমাকে যেন পাগল করে দিচ্ছে।
আমি খেয়ে চলে গেলাম।আব্বু আছে তাই আমি মাথা নীচু করে খেতে লাগলাম।
দাদিঃ সবাই যখন আছে এবার তাহলে আরফান এর বিয়ে টা দিয়ে দিতে পারলে কেমন হয়?
দাদির কথা শুনে আমার কাশি পেলো।হাছি যেন বন্ধই. হচ্ছে না।
ঐশীঃ এয় পানি খা।
আমি তারাতারি পানি খেয়ে নিজেকে সামলে নিলাম।
আমিঃ আমি এখনো বাচ্চা আর আমাকে তোমরা কেন বিয়ে দেবে?
ঐশীঃ নানু ওরে একটা ফিডার কিনে দেন ।বাচ্চাতো বিয়ে দিতে হবে না।
আমি ঐশীর দিকে রাগি ভাবে তাকালাম।ওই শয়তান মিট মিট করে হাসতেছে।
আমি অতিদ্রুত খেয়ে আসন ত্যাগ করলাম।ওখানে যত থাকবো ততই বিপদ।
আমি তারাতারি এসে শুয়ে পরলাম।শুয়ে শুয়ে ভালো লাগছে না তাই মুভি দেখতে লাগলাম।তখন ঐশী আবার আসলো।
ঐশীঃ ওই ছ্যামড়া কি করছিস?
আমিঃ মুভি দেখি।
ঐশীঃ কি মুভিরে?
আমিঃ কেন?
ঐশীঃ বল শুনি কি মুভি?
আমিঃ k.g.f।
ঐশীঃ কি k.g.f?আমিও দেখবো ওদিকে একটু সরে যা।
ঐশী লাফ দিয়ে আমার পাশে এসে শুয়ে পরলো।ঐশী একদম আমার পাশে শুয়ে পরলো।ঐশীর গা আমার গায়ের সাথে লেগে আছে।ওই আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে k.g.f দেখতে লাগলো।
ঐশী আমার পাশে এসে শুয়েছে আমি একটু নার্ভাস ফিল করছি।জীবনে প্রেম করিনাই।আর একটা মেয়ে আমার পাশে এসে শুয়ে পরেছে।ঐশীর শরিরের তাপমাত্রা আমার গায়ে লাগছে।একটা অন্য রকম অনুভুতি কাজ করছে ।যে অনুভূতি প্রকাশ করা যায় না।বুকের ভেতর ধুক ধুকানি বেড়ে গেলো।
ঐশীঃ আপন মনে k.g.f দেখতে লাগলো।কিন্তু আমার আর মুভি দেখতে ভালো লাগছে না।আমি অনুভব করতে লাগলাম।মিমের গায়ের সেই মিষ্টি গন্ধটা। এভাবে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পরলাম। বিকাল বেলা ঘুম ভেঙ্গে যাই।চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি ঐশী সেই ভাবে আমার পাশে শুয়ে মোবাইল টেপাটেপি করছে।
কিন্তু আমার একটা হাত ঘুমের ঘোরে ঐশীর গায়ের উপর দিয়ে ফেলছি।এটা দেখে একটু লজ্জা পেলাম।কিন্তু ঐশী কোনো কিছুই মনে না করে একভাবে মোবাইল দেখতে লাগলো।
আমি তারাতারি হাত সরিয়ে নিলাম।
ঐশীঃ যে তোর বউ হবে তার ঘুমাতে গেলে ভোগান্তি আছে!
আমিঃ মানে?
ঐশীঃ আমি তোর পাশে শুয়ে একটু মুভি দেখছি।তো ঘুমের মধ্যে একবাব. পা তুলে দিচ্ছিস গায়ে।সরিয়ে দিলে হাত দিচ্ছিস ।আবার কখনো কোল বালিশ বানিয়ে ফেলছিস আমাকে।
যে তোর বউ হবে তার ঘুমাতে গেলে কষ্ট আছে।
আমিঃ sorry,
ঐশীঃ হইছে হইছে আর sorryবলতে হবে না।এয় নে তোর ফোন।মুভিগুলো বেশ ভালো।রাতে ফোনটা দিশ সবকয়টা মুভিই দেখবো।
ঐশী চলে গেলো।আমার লজ্জা পাচ্ছে।আমি ঘুমের মধ্যে নাকি ঐশীকে জরিয়ে ধরছিলাম।কিন্তু ঐশী তো রাগ করলো না। আর বকাও দিলো না।তারমানে ঐশীও কি আমাকে ভালোবাসে?
হয়তো ঐশী আমাকে ভালোবাসে তা না হলে কেন বারবার আমার রুমে আসে।কিন্তু ওই বলছে না কেন যে ও আমাকে ভালোবাসে।বুজেছি।মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ ফুটে না।আর আচারণে আমাকে বুজিয়ে দিচ্ছে যে ঐশী আমাকে ভালোবাসে।আচ্ছা ঐশীকে একবার বলে দেখবো?একবার বলেই দেখি।
বাবারে বিকাল হয়ে গেছে।হি হি হি হি হি হি।দুপুরের কথা গুলো মনে আসলেই কেমন কেমন লাগছে।
আমি একটু আড্ডা দিতে বাহিরে গেলাম।সন্ধায় বাসায় আসলাম।
ড্রইংরুমে সবাই বসে বসে আড্ডা দিতেছে।আমি আস্তে করে রুমে আসলাম।আমারও ইচ্ছে করছিলো আড্ডা দিতে কিন্তু আব্বু আছে।তাই আমি সরে গেলাম।আব্বুর সামনে থাকতে আমার হাটু কাপে।আমি আস্তে করে রুমে গেলাম।রুমে ভালো লাগছিল না তাই ছাদে গেলাম।ছাদে বসে বসে আকাশের চাদ দেখছি।
আজকে চাদটা বেশ জোসনা ছড়িয়েছে।বেশ ভালোলাগছে চাদ দেখতে।কিন্তু ওক টুকরো মেঘ চাদটাকে ঢেকে দিলো।সাথে সাথে চারিদিকে আঁধার নেমে আসলো।
তখন পেছনে থেকে কেউ ধাক্কা দিয়েই আবার কাছে টেনে নিলো।রিতিমতো প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলাম, আম্মু বলে চিৎকার দিতে যাবো,তখনই কেউ আমার মুখটা চেপে ধরল।অন্ধকারে দেখা যায়না।আস্তে আস্তে মেঘটা সরে গেল চাদ থেকে।চাদটা আবার জোসনা ছড়ালো।জোসনার আলোতে দেখতে পেলাম এটা আর কেউ নয় স্বয়ং ঐশী।
চাদের আলোতে ঐশীকে অন্য রকম দেখা যাচ্ছে।জ্যোসনার আলোতে কাউকে যে এতো সুন্দর লাগে তা আগে কখনো ।ঐশীর দিক থেকে চোখ সরাতে পারছি না।আর একটা মেয়ের শরির থেকে যে এক মিষ্টি গন্ধ আসে ,সেটা ঐশীর শরীর থেকেও আসছিলো।ওই আমার মুখটা চেপে ধরেছে।ওর হাত থেকে সেই গন্ধটা আমি পাচ্ছি।আমাকে পাগল করে দিচ্ছিলো।
ঐশীঃ ওই এখনো এতো ভয়।ভয়টা কি তোর একটুও কমেনি।
আমি মুখ থেকে ওর হাতটা সরিয়ে দিলাম।
আমিঃ এভাবে কেউ ভয় দেখায়।যদি পড়ে যেতাম।
ঐশীঃ আমি ছিলাম।আমি তোকে পড়তে. দিতাম না।
আমিঃ আমার প্রচন্ড ভয় লাগছে।
ঐশীঃ হি হি হি হি।ভিতুর ডিম একটা।
আবার পাগল করে. দিচ্ছিলো ওর মিষ্টি হাসিটা।
আমিঃ আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো।বুজতে পারছি না কিভাবে প্রকাশ করবো।
ঐশীঃ কি কথা এখুনি বল।
আমিঃ না থাক অন্যদিন বলব।
কথা শেষ হলো না তার আগেই ঐশী আমার জামার কলার চেপে ধরলেন।
ঐশীঃ এখুনি বল।কথা বলতে গিয়ে বলে না ।পড়ে বলবো।এমন পাবলিককে খুন করলেও শান্তি আসে না।তারাতারি বল কি কথা।
আমিঃ কলারটা ছাড়ুন তাই বলছি।
ঐশী কলারটা ছেড়ে দিলো।
আমিঃ যানিনা আপনি কিভাবে নেবেন।আপনি যেদিন প্রথম বিদেশ থেকে আসছিলেন,আমি ভেবেছিলাম আপনি অহংকারী আর বদ মেজাজি হবেন।কিন্তু তার উল্টো।যেমন ছিলেন ঠিক তেমনই আছেন।একদম আগের সেই ঐশী।আমার সেই ঐশী যে আমার সাথে ঝগড়া করতো।আমাকে বিরক্ত করতো আমাকে পস্তাতো।আমি এয় ঐশীকে যে আমার সেই ছোট্ট বেলার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো।তাকে ভালোবেসে ফেলছি।তাকে আমার জীবন সাথী বানাতে চাই।
Oishee,I love you,I love you so much,will you Mary me?
ঐশীঃ হা হা হা হা হি হি হি।শয়তান তুইও আমার মতো মজা করছিস।
আমিঃ সত্যি মিম মজা না তোকে ভালোবাসি।অনেক ভালোবাসি।এয় কয়দিনে অনেকটা ভালোবেসে ফেলছি।
বিয়ে করবি আমায়?
ঐশীঃ তোরা ছেলেরাই এমন ।তোদের সাথে একটু ফ্রি ভাবে কথা বললেই ভাবিস যে সে তোকে ভালোবাসে।তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো সেই ছোট্ট বেলা থেকে।তোর সাথে একটু খোলামেলা কথা বলতাম বেস্ট ফ্রেন্ড ভেবে।বন্ধুদের মাঝে রসিকতা হয়।আর একটা মেয়ে তোর সাথে একটু তামাশা করে কথা বলেছে আর ওমনি তাকে ভালোবাসতে হবে।তুই আমাকে কতটুকু চিনিস যে ভালোবাসিস।হ্যা ছোটবেলার একসাথে ছিলাম।তাই বলে এখন ভালোবাসতে হবে।
তোকে আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ভাবতাম আর তুই এয় মর্যাদা দিলি।
আমিঃ দেখ আমি চাইনি তোকে ভালোবাসতে।কিন্তু কিভাবে যে ভালোবাসা তৈরি হয়ে গেলো আমি নিজেও জানিনা।সত্যিই তোকে অনেক ভালবাসি।..
ঐশীঃ ওমা তাই।আমিও একজনকে অনেক ভালোবাসি।আমরা একসাথে পড়েছি।তোর মতো থার্ড ক্লাস নয়।কি যোগ্যতা আছে তোর যে তুই ঐশীকে ভালোবাসবি।থাকিস তো একটা খ্যাত মার্কা গ্রামে।আর আসছিস আবার ঐশীকে ভালোবাসতে।
আমিঃ তুই অন্য কাউকে ভালোবাসিস।
ঐশীঃ না তোকে ভালোবাসি।তোর মতো একটা খ্যাত কে তোর মতো আবালরাই ভালোবাসবে এয় ঐশী নয়।শোয় যে কয়দিন আছি ভালোভাবে থাকতে দে।যদি বিরক্ত করিস তাহলে খুব তারাতারি চলে যাবো।কথাটা মায়ায় ভরে রাখিস। বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে ছিলো সেই বেস্ট ফ্রেন্ড হয়েই থাক।চাইনা তোর আর আমার এয় বন্ধুতের সম্পর্কটা নষ্ট করে ফেল। কথা গুলো মাথায় রাখ।
ঐশী ছাদ থেকে চলে গেলো।এয় কয়েক মূহুর্তে ঘটনা আমার দুনিয়া উল্টে দিয়েছে।আমি যাকে ভালোবাসলাম।সে অন্য কাউকে ভালোবাসে।আমি ধুপ করে ছাদে বসে পড়লাম।চাদের জ্যোৎস্না এখনো আছে।তবে তার মধ্যে সুখ নেই।আর ঐশী আমাকে ছোট বড় অনেক কথাই শুনালো।তাতে দুঃখ নেই।কিন্তু মিমকে আমি পাবো না।কান্না পাচ্ছে।জীবনে প্রথম কাউকে ভালোবাসলাম।আর সেই ছেড়ে চলে গেলো।
ও চাদ আমি যে তোমার মতো একা।ছাদেই শুয়ে পরলাম।কিছুক্ষন আগে মনের সুখে চাদ দেখছিলাম।আর এখন শুয়ে পড়ে চোখে পানি নিয়ে চাদ দেখছি।সেই একই চাদ।একেই বলে নিয়তি।তবে দোষটা আমার।যে কেউ একটু ফ্রি ভাবেই কথা বললে তাকে ভালোবাসতে হবে।কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পরলাম ছাদে।সকাল বেলা ঘুমিয়ে আছি।প্রায় সারারাত কান্না করে ভোর বেলার দিকে একটু ঘুমিয়ে আছি ছাদের দোলনায়।কিন্তু কেউ এক বালতি পানি ঢেলে দিলো আমার গায়ে।একলাফে উঠে বসলাম।
তাকিয়েই তো অবাক।
আমিঃ আপনি😮😴।
পর্বটা কেমন লাগলো সবাই কমেন্ট করে জানাবেন।
আপনারা যত অনুপ্রেরণা আর সাপোর্ট দেবেন লিখতে ততই আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাকে গল্প লিখতে সাহায্য করে। পেজ টা ফলো করবেন
ভুল ক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
#চলবে,,,,,,,,,,