ম্যাম সাহেব 🙂
লেখক আরফান চৌধুরী
পার্ট:-6
আমি রুমে এসে শুয়ে পরলাম। কিছুক্ষণ বাদে দিয়া আমার রুমে এসে অবাক।
দিয়াঃ ভাইয়া সবাই তোদের কথা বলার জন্য নিচ থেকে উপরে পাঠলো আর তুই এখানে শুয়ে আছিস।
আমিঃ ওর সাথে আমার কথা বলার ইচ্ছা নেই।
দিয়াঃ ঐশী তোর বউ হবে আর. বউয়ের সাথে কথা বলার ইচ্ছে নাই।আজন তো।
আমিঃ তুই যাতো ঘুমাতে দে।
দিয়াঃ দারা।যাচ্ছি।
দিয়া চলে গেলো।আমি দরজার বিপরীতে মুখ দিয়ে শুয়ে আছি।আচমকা শব্দ হলো।দেখলাম ঐশীকে জোর করে ধরে নিয়ে আসছে দিয়া।আমার রুমে দিয়াকে পাঠিয়ে দিয়েই দরজা বন্ধ করে দিলো বাহির থেকে।
আমিঃ এয় দরজা বন্ধ করলি কেন?
দিয়াঃ তোরা কথা বলে সব রাগারাগি মিটিয়ে নেওয়া তারপর দরজা খুলবো।
দিয়া চলে গেলো।
আর আমি কেন আগেকথা বলবো।ওআগে কথা বলতে পারে না।আগে ওই কথা বললে কি. মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে।
কিন্তু ও তো কথা বলছে না।মেয়েটা হয়তো কষ্ট পেয়ে আছে তাই কথা বলছে না।আমি একবার বলে দেখি।চোখ বন্ধ করে মিমকে ডাকদিলাম।
আমিঃ ঐশী, তোর এয় বিয়েতে মত আছে তো?
ঐশীঃ তোকে আমি. বিয়ে করতে পারবো না।
আমিঃ কেন?
ঐশীঃ তোকে আমি অপছন্দ করি।তাই তোর সাথে থাকতে পারবো না।এয় বিয়ে তুই আটকা।
আমিঃআমি পারবো না।আমি যে আব্বুর কথা অমান্য করতে পারবো না।
ঐশীঃ আমিও তোকে বিয়ে করতে পারবো না।
আমিঃ ঐশী দেখ এয় বিয়েটা করে নে।দেখ তোর আব্বু আম্মু।আমার পরিবার সবাই অনেক অনেক খুশি হয়েছে।তাদের জন্য বিয়েটা কর।
ঐশীঃ তাদের জন্য আমি তো আমার আমার লাইফটা শেষ করতে পারবো না।
আমিঃ আমার সাথে থাকলে তোর লাইফ শেষ হবে না ঐশী।আমি গুছিয়ে দেবো তোর লাইফ।
ঐশীঃ আমি কিছু জানিনা তুই এয় বিয়ে আটকানো আমি এয় বিয়ে করতে চাইনা।
আমিঃ আমি বেচে থেকে আটকাতে পারবো না।মরে গিলে তাই আটকানো যাবে।কারন আমি আব্বুর অবাধ্য হবো না।
ঐশীঃ ওরে আমার আব্বুর বাধ্য ছেলের রে!মামা যদি তোকে বিষ খেতে বলে তাহলে তুই বিষ খাবি।.
আমিঃ আব্বু যদি বলে তাহলে আমি সাথে সাথে বিষ খেয়ে নেবো।এক মূহুর্তে জন্য বিলম্ব করবো না।
ঐশীঃ ওসব কথা. ছাড়।বল এয় বিয়ে কিভাবে আটকাবি।
আমিঃ আমার কোনো উপায় নেই।আর আমি তোমাকে ভালোবাসি।তোমাকে বিয়ে করতে চাই।তুমি যদি বিয়ে করতে না চাও তাহলে তুমি আটকাও।
ঐশীঃ আমি আমার আম্মুর কথার অবার্ধ্য হবো না।
আমিঃ অবাধ্য যদি না হও তাহলে বিয়ে করে নাও।
ঐশীঃ তোকে বিরক্ত লাগে।তুই কিছু বুজিস না।
আমিঃ. কি বুজি না।
ঐশীঃ যদি কোনো উপায় না থাকে তাহলে বিয়ে করবো,তারপর আবার সিঙ্গাপুর চলে যাবো।কেউ আর আটকাতে পারবে না।
আমিঃ তাহলে বিয়ে করবে?
ঐশীঃ এতো লাফালাফি করতে হবে না।বিয়ে করছি তারমানে এয় নয় যে আমি তোর বউ।
আমিঃ যদি তুমি আমার ভাগ্যে থাকো তাহলে কেউ আটকাতে পারবেনা আমার বউ হওয়া থেকে।আর যদি আমার ভাগ্যে না থাকো তাহলে তুমি চাইলেও থাকতে পারবে না।
ঐশীঃ শোন বিয়েতে রাজি হয়েছি,তাই বলে ভাবিস না আমি তোর সাথে সারাজীবন থাকবো।
সামনে মাসে টিকিট কেটে সোজা সিঙ্গাপুর।
আমিঃ সামনে মাস তার মানে এখনো ২০ দিন বাকী।
মিমঃ কি?এয় ২০ দিনে তুই কি করবি।
আমিঃ শুধু তোমাকে দেখবো।তারপর .......
ঐশীঃ বিয়ে করছি,কিন্তু তুই যদি উল্টো পাল্টা কিছু করিস তাহলে মেরে লকডাউন করে দেবো।
.
আমিঃ আচ্ছা একটা কথা বলবে?
ঐশীঃ কি কথা?
আমিঃ আমাকে তুমি ভালোবাসো?শেষ বারের মতো জ্ঞিগেস করছি।আর কোনোদিন জ্ঞিগেস করবো না।
ঐশীঃ যদি বলি বাসি ..............না।
আমিঃ তাহলে আর বিরক্ত করবো না।
ঐশীঃ যদি ভালোবাসতাম. তাহলে কি বিরক্ত করতিস?
আমিঃ না,আরো ভালোবাসতাম।সারাজীবন আগলে রাখতাম।রানির মতো করে রাখতাম।
ঐশীঃ দরকার নেই তোর ভালোবাসার।দরজা খুলতে বল।আমি বাহিরে যাবো।তোর সাথে থাকতে আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
আমি গিয়ে দরজাটা ধাক্কা দিতে লাগলাম।আর দিয়াকে ডাকতে লাগলাম। চিৎকার করার ফলে মাথায় আবার যন্ত্রণা শুরু হলো।মাথাটা ঘুরছে।
সোজা হয়ে দারাতে পারছি না।দরজাটা ধরে দারালাম।
ঐশীঃর সাথে কথা বলতে গিয়ে মাথায় চাপ পড়েছিলো।অনুভব করলাম কপাল বেয়ে গরমকিছু আসছে।হাতদিয়ে দেখি রক্ত আসছে।
আমি হাত দিয়ে রক্ত মুছে ফেলার চেষ্টা করলাম।কিন্তু সারা মুখে লেগে গেলো।
আমি আস্তে করে দরজার পাশে বসে পারলাম।
হঠাৎ বসে পড়তে দেখে ঐশী আমার পাশে চলে আসলো।আমার মুখে কপাল থেকে বেয়ে আসা রক্ত দেখে ঐশীঃ রিতিমতো ঘাবড়ে গেলো।
ঐশীঃ এয়য়য় কি হয়েছে তোর,মাথায় আবার রক্ত আসছে কেন?
আমিঃ যানিনা।
ঐশীঃ ওট ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছি রক্ত পড়ছে তো
আমিঃ লাগবে না
ঐশীঃ ওঠ বলছি(কিছু টা রেগে)
ঐশী তারাতারি আমাকে তুলে খাটে হেলান দিয়ে বসিয়ে দিলো।
আমার মুখের রক্ত ও নিজের ওড়না দিয়ে মুছে দিতে লাগলো।পাগলের মতো লাফালাফি করছে।
আমিঃ আমাকে একটু পানি দেবে ঐশী?
ঐশী খুব দ্রুত রোবটের মতো টেবিল থেকে পানির গ্লাস নিয়ে. আসলো।আমি হাত লম্বা করলাম।আমার হাতে না দিয়ে নিজেই খাইয়ে দিতে লাগলো।
খাওয়া শেষে আমাকে শুইয়ে দিয়ে,আলমারি থেকে নতুন ব্যান্ডেজ আর পট্টি নিয়র। আমার মাথার ব্যান্ডেজ খুলে আবার নুতন ভাবে ব্যান্ডেজ করে দিতে লাগলো।।
ব্যান্ডেজ শেষ করে
ঐশীঃ এখন কেমন লাগছে রে?
আমিঃ তুমি আমাকে ভালোবাসো না? তাইনা.?
ঐশীঃ হুম বাসিনা তো।
আমিঃ তাহলে এগুলো করলে কেন।আমি তো এখানে পড়ে মরে যেতাম।আর নিজের সুন্দর ওড়না দিয়ে আমার রক্ত মুছে দিলে কেন?
ঐশীঃ কেন দেওয়া যাবে না?
আমিঃ যারা অনেক ভালোবাসে,তারাই এগুলো করে।এতো জত্ন করে।তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না তা কেন করলে এসব।
ঐশীঃ আমার সামনে কেউ বিপদে পড়লে. তাকে আমি সাহায্য করি।তারমানে এয় না যে আমি তাকে ভালোবাসি।
আমিঃ ওওও ভালো।মানে এটা তোমার উদারতা?
ঐশীঃ হুমমমম।
আমিঃ তাহলে কালকে অত রাতে আমার রুমে এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেছিলে কেন?এটাও কি তোমার উদারতা?
ঐশীঃ কককখন।
আমিঃ কেন তুমি যানো না।
ঐশীঃ তোর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেছিলে তারমানে এটা না যে আআমি তোকে ভালোবাসি।তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তাই আমি দিয়েছি।
আমিঃ ওওওও খুব ভালো বন্ধু?
আমিঃ আচ্ছা দিয়াকে ডাকদেবে?
ঐশী দরজার কড়া নাড়তে লাগলো ।কিছুক্ষন পর দরজা খুলে দেওয়া হলো।ঐশী দেরি না করে সোজা রুমে থেকে চলে গেলো।
দিয়াঃ ভাইয়া তোর মাথায় আবার কি হলো।
আমিঃ কিছু না।আবার রক্ত আসছিলো।তখন ঐশী ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে।
দিয়াঃ তারমানে তোরা বিয়ে করতে রাজি আছিস।
আমিঃ কুরবানি যখন দিবি বলে ঠিক করেছিস তাই হবে।
দিয়াঃ ইয়াহউউউউ ঐশী আমার ভাবি হবে।দাদিইইইইই ওরা রাজি আছে।
আমিঃ আরে আমার কথাটা শুননননন
দৌরে নিচে গেলো।
আমি খাটে হেলান দিয়ে বসলাম।আচ্ছা এয় ঐশীর মনের মধ্যে কি আছে?ও কি আমাকে সত্যিই ভালোবাসে?
ঐশীর ব্যাবহার দেখে মনে হয় ঐশী আমাকে প্রচুর ভালোবাসে।কিন্তু ওর কথায় তা সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত করে দেয়।আমাকে জা তা বলে অপমান করে। মেয়েদের মন এতো জঠিল।
যাক বিয়েটা একবার করতে পারলে আমি আর ঐশীকে যেতে দেবো না।যে কোনো উপায়ে ঐশীকে নিজের করে নেবো।আর কখনো কষ্ট পেতে দেবো না।
কিছুক্ষণ পর আম্মু এসে ভাত খাইয়ে দিয়ে ঔষধ খাইয়ে ,চলে গেলো।
আমি শুয়ে পরলাম।তখন কার কথাটা মনে পরলো।
ঐশী কতসুন্দর করে আমার মুখ থেকে নিজেকে ওড়না দিয়ে রক্ত মুছে দিচ্ছিলো।মনে হচ্ছিলো আমার বিয়ে করা বউ।
ঐশীর কথা চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সন্ধার কিছুক্ষণ আগে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।এখন মাথাটা একটু হাল্কা লাগছে।আমি আস্তে করে রুমের বাহিরে গেলাম।সবাই নিজে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে, টপিক হলো আমার বিয়ে নিয়ে,বিয়ের আয়োজন,কতটা বড় উৎসব করা হবে ইত্যাদি ইত্যাদি,।
আমি আস্তে করে নিচে গেলাম।
আম্মুঃ এয় আমাদের কাউকে ডাকলি না কেন,একা একা আসলি কেন,মাথায় আবার ধাক্কা লাগবে তো।
আমিঃ না আম্মু আর সমস্যা হবে না।মাথায় আর তেমন ব্যাথা নেই।তাছাড়া ভালোভাবে. ব্যান্ডেজ করা হয়েছে।
দিয়াঃ হ্যাঁ এবার যে ঐশী ব্যান্ডেজ করেছে এবার তো সেরেই যাবে।
আমিঃ চুপ বেশি কথা বলবি না।
আম্মুঃ আয় এসে বস।
আমি গিয়ে আম্মুর পাসে বসতে যাবো
আম্মুঃ এখানে না বৌমার পাশে গিয়ে বস।দেখি দুজনে কেমন লাগছে।
আমিঃ না আম্মু আমি এখানে বসবো।
আম্মুঃ যা বললাম তাই কর।
আমার ওতো ইচ্ছে করছিলো ঐশীমের পাশে বসতে।যাই হোক গিয়ে বসলাম।
যায়গা অল্প।আমার গায়ের সাথে ঐশীর গা লেগে আছে।
দাদিঃ বাহ কত সুন্দর লাগছে তোদের দুজনকেই।
আমিঃ দাদি তুমি বসো তাহলে আরো সুন্দর লাগবে।তুমি যদি 70+না হতে তাহলে তোমাকে. বিয়ে করতাম।
দাদিঃ তাই নাকি।তা এখন কর।
আমিঃ না দাদি।তোমার টিকিট কাটা হয়েছে,যানিনা কবে ফুটে যাও,আর একবার ফসকে গেলে আমি যে নিজেকে বাচাতে পারবো না।
দাদিঃ দূর মুখ পোড়া।
ঐশী কোনো কথা বলছে না।ও একদম চুপ করে আছে।এভাবে অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম।পরিবারের সকলের সাথে বসে আড্ডা দেয়ার মতো মজা আর নেই।রাতে খেয়ে দেয়ে উপরে. গেলাম।রুমে যাবো তখনি খেয়াল করলাম,ছাদের দরজা খোলা।
রাতে ছাদে কে যেতে পারে।আমি আস্তে আস্তে ছাদে গেলাম।গিয়ে দেখি ঐশী ছাদে রেলিং ধরে দারিয়ে আছে।
আমিঃ এয় এতো রাতে কি করছো বউ?
ঐশীঃ কি বললি ,আর একবার বল?
আমিঃ বউ৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳__
ঐশীঃ আমি তোর কোন জন্মের বউ।আর আমাকে এসব বলে ডাকবি না।আমার নাম ঐশী।নাম ধরে ডাকতে পারলে ডাকিস না হলে ডাকার দরকার নেই।
আমিঃ আরে আর কয়েকটা দিন পর তো তুমি আমার বউ হবে।
ঐশীঃ সেটা মাত্র লোক দেখানো।আমি তোর বউ কোনোদিনই হবো না।
বিয়ে করলেই বউ হয় না।তোকে বিয়ে করছি শুধু আম্মুর অনুরোধে।তোর মতো অনেক আরফান আমার পেছনে আছে।
আমিঃ ওওও তা অনেক আরফান আছে কিন্তু আমি নেই।আর আমিই তোমার আরফান হতে চাই।
ঐশীঃ লাগবে না।তোর মতো কাউকে।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে।তো তুমি নিচে চলো।অনেক রাত হয়ছে যাও গিয়ে ঘুমাও।
ঐশীঃ যাচ্ছি অত বলা লাগবে না।আমার সাথে তুই একদম কথা বলবি না।এয় কয়দিন কথা বলিস নাই খুব শান্তিতে ছিলাম।
আমিঃ কথা না বলে সত্যিই কি শান্তিতে ছিলে ঐশী?
মিমঃ হুম,খুব শান্তিতে ছিলাম।অনেক শান্তি।(কথা গুলো বললো,কিন্তু কথা গুলো যেন ঐশীর মুখ থেকে বের হচ্ছিলোই না)
আমিঃ হুম আমি এতোটাই খারাপ যে দূরে থাকলে সবাই ভালো থাকে।আচ্ছা অনেক রাত হয়েছে যাও গিয়ে ঘুমাও য
মিমঃ এএ যাচ্ছি যাচ্ছি আমি তোর এখানে বসে কি পিরিত করবো! যতসব।
ঐশী বকতে বকতে চলে গেলো।
আমি দোলনায় বসে পরলাম।রাতের আকাশ দেখলে মন ভালো হয়।আর ঐশীটা কেমন কেমন করে কথা বলছে।মেয়েটা প্রথমে কত সুন্দর করে ,দুষ্টুমি করে,কথা বলতো।কিন্তু এখন আর বলে না।মুখে যেন নিম পাতা।
আমি ওভাবেই ছাদে বসে আছি।বেশ খানিকক্ষণ পর ,ঐশী আবার আসলো।
ঐশীঃ এয় তুই যেন ভাবিস না আমি তোর জন্য ছাদে আসছি।আমি কিন্তু চপ্পল নিতে আসছি।আমি ভুল করে ছাদে চপ্পল ফেলে গেছি।
আমিঃ ওও আচ্ছা নিয়ে যাও।
ঐশীঃ তুই এতো রাতে এখানে কি করছিস?
আমিঃ তোমার চপ্পল চোকি দিচ্ছিলাম।
ঐশীঃ হুম😎।তুই হয়তো ভাবছিস তোকে দেখতে আসছি,এটা ভেবে থাকলে ভূল. ভাবছিস।
আমিঃ কে আমি যে আমাকে দেখতে আসবে,একটা খ্যাত মার্কা,গাইয়া।আর আপনি কত বড় মনের. মানুষ।
ঐশীঃ আরফান😪।যাহ এখান থেকে যতসব।আমারই ভুল রাতে কেন নিতে চপ্পল নিতে আসলাম।রাতে তো আর চপ্পল পায়ে দেবো না। এয় বলে ও আবার বকতে বকতে চলে গেল।
হি হি হি,রাত একটার সময় ছাদে আসছে জুতা নিতে।
আমি আবারও দোলনায় হেলান দিয়ে আকাশ দেখতে লাগলাম।আজও চাদের জ্যোৎস্না আছে,তবে সেই জ্যোৎস্নার উজ্জ্বলতা আর তেমন নেই।
তবুও তাকে দেখতে ভালো লাগছে।আকাশের বুকে একদল মেঘ ভেসে বেরাচ্ছে।ওমেঘ তোমরা আমাকেও একটু নেবে।
প্রায় ২০ মিনিট পর ঐশী আবার আসলো।
ঐশীঃ এয় এবার আর চপ্পল না।আমার ইয়ারফোন ফেলে গেছিলাম।তাই নিতে আসছি।
আমিঃ কোথায়,তোমার ইয়ারফোন?
ঐশীঃ ওইতো রেলিং এর উপর বাধানো আছে।
আমিঃ আচ্ছা যাও নিয়ে যাও।
ঐশীঃ হুম নিয়েই তো যাচ্ছি।
আমিঃ ভালোভাবে দেখেনাও আর কিছু আছে কি?
ঐশীঃ হুম😪।যে জিনিসটা নিতে আসতেছি তা তো নিতে পারছি না।(অনেক আস্তে)
আমিঃ কিছু বললে?
ঐশীঃ না তোকে আমি কি বলবো।আমি তোর সাথে কেন কথা বলবো।পাগল নাকি আমি তোর সাথে কথা বলবো।
ঐশী আবারও চলে গেলো।যানিনা এতো রাতে ও কেন বারবার আসতেছে।
আবার কিছুক্ষণ পর ছাদের দরজা খোলার শব্দ পেলাম।
আমিঃ আবার কি ফেলে গেছো।
দিয়াঃ ভাইয়া তুই এতো রাতে ছাদে কেন, রুমে যা গিয়ে শুয়ে পর।ঘুমা না হলে আবার মাথা ব্যথা করবে।
(ঘুম জরানো কন্ঠে)
আমিঃতুই এতো রাতে ছাদে আসলি কেন?তোকে কে বললো আমি ছাদে।.
দিয়াঃ ঐইইই,না কেউ বলেনি।আমি এমনি দেখলাম তুই রুমে নেই তাই ছাদে আসলাম।
আমিঃ রুমে না থাকলেই ছাদে থাকবো তোকে কে বললো।তুই কিভাবে জানলি।
দিয়াঃ অত কথা বাদ দে নিচে চল ঘুমাবি. আর রাত জাগিস না শরির খারাপ করবে।
আমিঃ ওরে বাবা।
দিয়াঃ চলতো।
আমাকে এক রকম টেনে নিচে নিয়ে গেলো।
আমার ও ঘুম পাচ্ছিলো।তাই রুমে গেলাম।
কিন্তু রুমে গিয়ে তো অবাক।আমার ডাউট লাগলো।
নিশ্চয়ই____________
পর্বটা কেমন লাগলো সবাই কমেন্ট করে জানাবেন।
Next পার্ট ধামাকা হতে চলেছে আসা করি ভালোই লাগবে
গঠন মূলক কমেন্ট করুন।
সার্পোট চাই
আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাকে গল্প লিখতে সাহায্য করে।
ভুল ক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
#চলবে.......