ম্যাম সাহেব 🙂 লেখক:-আরফান চৌধুরী Part:-02

 ম্যাম সাহেব 🙂

লেখক আরফান চৌধুরী 

পার্ট:-2

ঐশী আমার হাতে ঘড়িটা না দেখে কিছুটা রেগে গেলো।

ঐশীঃ মামিমা(আম্মু)দেখেন আমি আপনার ছেলেকে একটা ঘড়ি উপহার দিলাম তো সেটা নিলো না।বললো যে আমার জিনিস নেবে না।

আম্মুঃ আরফান তাই নাকি।কেউ কিছু দিলে সেটা নিতে হয় ।না নিলে সে কষ্ট পাবে।

আমিঃ আমি নিতে পারবো না।ঘড়ি পড়তে আমার ভালো লাগে না।

আব্বুঃ কিহ ঘড়ি নেবে না কেন?

আমিঃ আব্বু নেবো ,নেবো।ঘড়িটা আমি তো নিয়েছি।গোছল করে তাই হাতে দেবো।হুমমমমম

😣😣😣😣😣😣😣

আমি খেয়ে দেয়ে রুমে গেলাম তখন ঐশী আবার আসলো।

ঐশীঃ আরফান আমার সাথে তুই ঠিকঠাক করে কথা বলছিস না কেন?

আমিঃ কই বলছি তো।আর আপনি কষ্ট করে আসছেন যান গিয়ে বিশ্রাম নেন।

ঐশীঃ আচ্ছা আমি কি তোর অপার,আমাকে আপনি বলছিস ,এমন করে কথা বলবি না।

আমিঃ না আসলে আপনি বিদেশ থেকে আসছেন।আর কত শিক্ষিত।আপনি কত নামি দামি দেশ থেকে আসছেন।

ঐশীঃ বার বার এক কথা ।আমি এখানে গেলেও।আমার মনটা এখানেই ছিলো।

ঐশী টেবিল থেকে ঘড়িটা নিলো।নিয়ে আমার হাতে সুন্দর করে পরিয়ে দিলো।

ঐশীঃ ঘড়িটা অনেক পছন্দ করে কিনেছি।শুধু তোর জন্য।হারিয়ে ফেলিস না।আর ঘড়িটা অবহেলা করিস না ঠিক আছে।

আমিঃ হুম।

ঐশীঃ আচ্ছা তুই তো অনেক দুষ্ট ছিলি।আমাকে খামছে দিতিস।আমার গায়ে পানি দিয়ে দৌর দিতিস।বরফ ছুড়ে মারতিস ।আর সারাক্ষণ তো জ্বালিয়ে মারতিস।আর এখন কেন ঠিকঠাক করে কথাই বলছিস না।

আমিঃ সময় পরিবর্তনশীল,আর সময়ের সাথে সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়।আর মানিয়ে নিতে গিয়ে হয়তো ।

ঐশীঃ তাই বলে তুই আমাকে ভূলে গেলি।

আমিঃ কই ভুলেছি।

ঐশীঃ ভুলিস নি তাই না?

আমিঃ আচ্ছা অনেকটা পথ জার্নি. করে আসছো যাও গিয়ে বিশ্রাম নাও।

ঐশীঃ আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি।আর আমি মোটেও ক্লান্ত নয়।

আমিঃ আচ্ছা।

ঐশীঃ আচ্ছা তুই প্রেম করিস ?

আমিঃ না আমার ওসব ভালো লাগে না।

ঐশীঃ কাউকে পছন্দ হয় নাকি?

আমিঃ কেন?

ঐশীঃ আরে না এমনি।আচ্ছা আরফান তোর কনুইয়ে সেই দাগটা আছে?

আমিঃ একটু আছে।

ঐশীঃ খুব লাগছিলো না?আমি কিন্তু. বুজতে পারিনি তোর হাতে এভাবে কেটে যাবে।তাহলে ওভাবে ছুরিটা ছুড়ে দিতাম না।

আমিঃ তো আপনার এসব কথা এখনো মনে আছে?

ঐশীঃ সারাজীবন মনে থাকবে।

আমিঃ ভালো।

ঐশীঃ এয় বিকালে আমাকে একটু গ্রামটা ঘুড়তে নিয়ে যাবি?

আমিঃ দিয়ার সাথে যাইয়েন।আমি দিয়াকে বলে দেবো ওই আপনাকে নিয়ে যাবে।

ঐশীঃ আরফান ,আমি তোমার সাথে যাবো।এতদিন পরে আসছি প্লিজজজজজজজজ নিয়ে চল।

আমিঃ আসলে আমার বিকালে একটা ক্লাস আছে(মিছা কথা)

ঐশীঃ ইগনোর করিস।আচ্ছা সেই বিকাল আসুক।

ঐশী চলে গেলো।আমি মিমের সাথে ভালোভাবে কথা বলছি না।কারন ওর সাথে কথা বললে পুরাতন সৃতি গুলো ভেসে আসবে।আর যদি আবার দূরে চলে যাই সহ্য করতে পারবো না।তাছাড়া ঐশীরা এখন অনেক ধনী।আর শুনেছি ধনীদের কথার কামর অনেক বিষাক্ত।আর আমি চাইনা কোনো ধনীর মায়ায় জড়িয়ে নিজেকে শেষ করতে।আমার চাই একটা সাধারণ মেয়ে।একদম‌ সাদামাটা।তবে মায়াবি হবে।সে আমার বাবা মাকে অনেক ভালো বাসবে।

আমি শুয়ে আছি তখন আব্বু আমার রুমে আসলো।

আব্বুঃ ঐশীকে বিকালে একটু গ্রামটা ঘুড়িয়ে নিয়ে এসো।অনেক বছর পর আসছে তো সবকিছু অপরিচিত হয়ে গেছে।

আমিঃ আচ্ছা ।(অগত্যা)

যানিনা সবাই কেন আমার দুর্বল পয়েন্টে আঘাত করে।আমি যেই. কাজটা করবো না বলি ।সেটা আব্বুকে বলে করিয়ে নেবে।ধুর ভাল্লাগে না।

বিকালে আমি রুমে বসে বসে ললিপপ চুষতেছি তখন ঐশী আমার পেছনে এসে।

ঐশীঃ এয় চলআমি রেডি।

আমিঃ পেছনে ঘুরতেই কিছু একটা খেলাম ঐশীকে দেখে।ম্যাম সাহেব শাড়ি পড়েছে।ওমারে কত সুন্দর লাগছে।আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম।কিন্তু আমি বেশিক্ষণ তাকালাম না।তারাতারি ঐশীর মায়াজাল থেকে বের হয়ে আসলাম।আমি চাইনা কারর মায়াই পড়তে।

ঐশীঃ কি রে কি হলো চলললল।

আমিঃ জি চলুন।আমি পোষাকটা পরিবর্তন করে ঐশীকে নিয়ে বেড়িয়ে পরলাম।

আমি ঐশীকে গিয়ে গ্রামের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছি ।ঐশী সবকিছু অবাক হয়ে দেখছে।আর বারবার শুনছে কোনটা কি?এটার মান কি?ওটার নাম কি?

আমি আর ঐশী হাটতে হাটতে ইছামতী নদির পাশে এসে পরলাম।

ঐশীঃ ওয়াও ।সেই ইছামতী নদী।কতবছর পর দেখছি নদিকে।কত সৃতি জরিয়ে আছে এয় নদীতে।

আমিঃ হুমমম।

ঐশীঃ এয় তোর মনে আছে তুই একবার বাসায় না বলে নদিতে সাতার কাটাতে আসছিলি,মামিমা কত পিটাইছিলো।আহা কত মাইর।

আমিঃ এসব কথা আপনার এখনো কি মনে আছে,

ঐশীঃ তোর সাথে কাটানো কোনো কথাই ভোলা যায় না।

আমিঃ তাই বুজি।

ঐশীঃ এয় সেই গাছটা যেখান থেকে তুই একটা টিয়াপাখি নিয়েগিয়েছিলি মামা তোকে বকা দিলে তুই আবার এখানে রেখে গিয়েছিলি।

আমার সবববব মনে আছে।

আজব তো আমি যে সব কথা মনে রাখিনি ওই সব কথা গুলো মনে করে রাখছে।

আমিঃ তা বাসায় চলুন।

ঐশীঃ এয় কেবল আসলাম।সন্ধা নামুক তারপর যাবো।বহু বছর নদীর ধারে বসে সূর্য অস্ত যাওয়া দেখি না।আর এত বছর পর আসলাম সেই ইছামতির পাড়ে যেতে যে ইচ্ছে করছে না।

আমিঃ আচ্ছা বসে থাকুন।

ঐশীঃ এয় আমি আসছি তাই কি তুই বিরক্ত হচ্ছিস?

আমিঃ আরে না না একি বলছেন।

ঐশীঃ আমি বুজি আমি এসে তোকে অনেক বিরক্ত করছি।এভাবে সাথে নিয়ে ঘুড়ে বেড়ানো অনেক বিরক্তিকর।

আমিঃ আরে না কি যে বলেন না আমার তো বেশ লাগছে।

ঐশীঃ সত্যিই?

আমিঃ হুমমমম।

ঐশীঃ তাহলে আইসক্রিম খাওয়া।

আমিঃ না আইসক্রিম খেলে আপনার সর্দি লাগবে।

ঐশীঃ আমার আইসক্রিম খেলে সর্দি লাগে বুজি?

আমিঃ হ্যা লাগেই তো।

ঐশীঃ তুই তাহলে এসব কথা মনে রাখছিস কেন?

আমিঃ দেখুন কথা গুলো মানুষের সাথে সাথে মনের অন্তরালে চাপা পড়ে যায়।যখন সেই মানুষটা আবার চোখের সামনে চলে আসে তখন আবার কথা গুলো সৃতির পাতা থেকে ভেসে আসে।

ঐশীঃ আমি আইসক্রিম খাবোওওওও।প্লিজ আইসক্রিম কিনে দে না।

আমিঃ না আইসক্রিম খেতে হবে না।

ঐশীঃ ওই আরফান প্লিজ একটা আইসক্রিম কিনে দে।দেখ আজ কতবছর পর ঐশী তোর কাছে বায়না ধরেছে তুই রাখবি না?

আরে এতো সেই আবার বায়না ধরেছে।কি যে করি।রাস্তার মাঝখানে দারিয়ে রইলো আইসক্রিম না দিলে যাবে না।তো কি আর করার আইসক্রিম কিনে দিতে হলো।

আমি ওরে একটা আইসক্রিম কিনে দিলাম।আর আমি একটা কিনলাম।ও খাচ্ছে ওর টা আর আমি আমারটা।খেতে খেতে বাসায় আসতেছি।কিন্তু ওর আইসক্রিম খাওয়ার গতি অনেক বেশি।আমি ভালোভাবে আইসক্রিমটা প্যাকেট থেকে বাহির করতে পারিনি তার আগে ওর খাওয়া শেষ।

ও আইসক্রিম খেয়ে আমার দিকে তাকালো।আমি সাতপাঁচ না ভেবে আমারটা খেতে লাগলাম।কিন্তু ওই ইগল পাখির মত আমার আইসক্রিমটা নিয়ে নিলো।

একি ওই আমার আইসক্রিম খেতে লাগলো।

আমিঃ আপনি আমার আইসক্রিম খাচ্ছেন?

ঐশীঃ তো ?

আমিঃ না মান আমার উচ্ছিষ্ট কথা।

ঐশীঃ এয় তুই তো আর অপার কেউ না।যে তোর আইসক্রিম খাওয়া যাবে না।তুই তো আরফান।

আমি ওর দিকে হা করে তাকিয়ে রইলাম।ওই এতো বড় হয়েছে তবুও ওর ছেলে মানুষ গেলো না।সেই পিচ্ছির মতো আছে।ছোট বেলাতে যখন অনু আন্টি আমার ওর ওর আইসক্রিম কিনে দিতো।ও দুইটা নেবে আরো আমারটা কেরে খেয়ে নেবে।কিছু বললেই আব্বুর সাথে উল্টো পাল্টা নালিশ দেবে।

.

ঐশীঃ হাদারাম কি দেখিস।

আমিঃ কিছু না।

ঐশীঃ বাসায় চল।

আমিঃ হুম

আমি বাসায় দিয়া আর ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য কিছু চকলেট আর ললিপপ নিয়ে বাসায় আসলাম।অনেকটা. পথ হেটেছি ক্লান্ত লাগছে তাই এসে শুয়ে পরলাম।

তখন দিয়া আমার রুমে আসলো।

আমিঃ এয় হাড্ডি তুই আমার রুমে কি মতলবে আসছিস।

দিয়াঃ ভাইয়া আমি তো তোমার রুমে আসলাম,তোমার কোনোকিছু লাগবে কি না তাই জানতে।তোমার জন্য কফি নিয়ে আসবো?

আমিঃ মতলব কি তাই বল।

দিয়াঃ ভাইয়া তোমার পা টিপে দেবো।

আমিঃ বেপার কি?

দিয়াঃ আচ্ছা ভাইয়া তোর পছন্দের কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়াবো।

আমিঃ তুই মোদ্দা কথায় আয়তো।

দিয়াঃ ভাইয়া আমার একটা ছোট্ট উপকার করবি।একদম ছোট্ট।

আমিঃ বুজেছি এজন্য এতো বারখাওয়াচ্চিস।বল শুনি?

দিয়াঃ ভাইয়া বলনা উপকার করবি আমি খুব বিপদে আছি।

আমিঃ কাজটা কি সেইটা তো আগে বল?

দিয়াঃ যানিস ভাইয়া আমি তো আব্বু আর আম্মুর কাছ থেকে আগাম ট্যাবলেট কিনে নিয়েছিলাম,বলেছিলাম পরিক্ষায়।80+ নাম্বার পাবো।কিন্তু

আমিঃ কিন্তু কি?

দিয়াঃ 60+ নাম্বার হয়েছে টেনেটুনে।প্লিজ ভাইয়া আমার পরিক্ষা খাতায় সিগনেচারটা তুই করে দিবি।বাসায় যানতে পারলে ফোনটা নিয়ে নেবে।

আমিঃ হা হা হা হা হা হি হি হি হি হি হু হু হু হু।আমি এখুনি গিয়ে বলে দেবো।তোর ট্যাবে আমাকে হাত দিতে দিস।আর আমার কোন কাজটা করে দিস তুই?

দিয়াঃ ভাইয়া আমি তোর পায়ে পড়ি।আমাকে তুই বাচা।আমি তোর সব কথা আর তোর সব কাজ করে দেবো।

আমিঃ সব কাজ?

দিয়াঃ সব কাজ,জামাকাপর পরিষ্কার থেকে শুরু করে,ঘর গোছানো।মাথা টিপে দেওয়া,সব কাজ করে দেবো।

আহা আমার একটা সিগনেচারের এতো মুল্য,ভাবতেই পারিনি।বাসাত যখন আমার দিকে তখন বাতাসকে একটু কাজে লাগাই আর কি।বিনা পয়সায় আয়েশ আর কয়জনের ভাগ্যে আসে।

দিয়াঃ বলনা ভাইয়া সিগনেচার করে দিবি।

আমিঃ ভেবে দেখবো।

দিয়াঃ ভাবাভাবির কিছু নেই ।তুই মুখ তুলে না চাইলে আমি মরে যাবো।

আমিঃ আচ্ছা আমার সব কথা শুনলে আমি সিগনেচার করে দেবো।তবে বেগরবাই করলে একদম সব ফাস করে দেবো।

দিয়াঃ তোর সব কথা শুনে চলবো।আমি কি আমার লক্ষ্মী ভাইটার কথা অমান্য করতে পারি।

আমিঃ হুমমমম।কলে পড়ে কলমা পড়ছো তুমি।আচ্ছা খাতাটা দে

 দিয়া খাতাটা দিলো ।আমি সিগনেচার করে দিলাম।পাগলটা যাক একে কয়েকদিন ব্যবহার করা যাবে।

আমি ফোনটা নিয়ে গুতাগুতি শুরু করে দিলাম।আচমকা ঐশী আমার রুমে প্রবেশ করলো।

এসেই সেই ছোট বেলার মতো আমার খাটে দুম করে লাফিয়ে পড়লো।

ঐশীঃ কিরে উচবুক কি করিস?

আমিঃ মুখ সামলে কথা বলেন।আর যা তা নামে আমাকে কেন ডাকছেন।

ঐশীঃ উলে বাবালে বাবা।বোবার মুখে বুলি ফুটেছে(আমার দুই‌ গাল টেনে দিয়ে)

আমিঃ যানতো এখান থেকে।

ঐশীঃ বাবাহ এতো রাগ।আমি আছি বলে কি মেয়েদের সাথে ফিলডিং মারতে পারছিস না তাই চলে যেতে বলছিস।

আমিঃ কি যাতা বলছেন?

ঐশীঃ দে তাহলে তোর ফোনটা দেখি,কয়টা মেয়ের সাথে ইন্টু পিন্টু চলছে।

আমিঃ আমার ফোন কেন আপনার কাছে দেবো।

ঐশীঃ দিবি দিবি,নিজে আমার কাছে দিবি।

আমিঃ হ্যাহ।আমি দেবো না।

ঐশীঃ তুই যে দিয়ার খাতায় সিগনেচার করেছিস,সেটা আমি মামাকে বলে দেবো।দিয়া পরিক্ষায় কম নাম্বার পায়ছে,আর তুই নিজের সার্থের জন্য দিয়াকে সাহায্য করেছিস।এটা আমি মামাকে বলে দেবো।যানিস তো অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সয্য করে দুজনই সমান অপরাধী।এটা মামা জানলে কি অবস্থা হবে তোর তুই ভাব।

আমিঃ প্লিজজজজজজজজ আপনি আব্বুকে বলবেন না।

ঐশীঃ তুমি চান্দু দিয়াকে ফাঁদে ফেলছো।সুজগের সৎ ব্যবহার করেছো।আমি কেন ছেড়ে দেবো।হাতের লক্ষি পায়ে ফেলতে নেই।

আমিঃ কি করতে হবে?

ঐশীঃ আপাতত ফোনটা দে।আমি তোর ফোনটা দেখবো।

ইচ্ছে না থাকলেও দিতে হলো।আসলেই ঠিক,যে অসৎ পথে কখনো সফল হওয়া যায় না।বিপদ আসবেই।

আমি দিয়ার নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাচ্ছি।আর মিম আমার।

ঐশীঃ অনেক মেয়ে তো তোকে নক দেয় রিপ্লাই দিস না।গুড।এটা ভালো।আর এয় মারিয়াটা কে এতো মেসেজ আর এতো এমুজি দিয়েছে?

আমিঃ আমার বন্ধু আমার সাথে পড়ে।

ঐশীঃ শুধু বন্ধু নাকি অন্য কিছু?

আমিঃ শুধু বন্ধু।

ঐশীঃ হুম ভালো ফোনটা ঘেটে দেখলাম কোনো গালফেন্ড নেই।থাকলে ট্রিক নেওয়া যেত।ওটাতেও এমন করে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানো যেতো।

আমিঃ এবার ফোনটা দেন!

ঐশীঃ হুম এমন ভালো হয়ে চলবি নাকি প্রেম টেম কিচ্ছু করবি।তোর দ্বারা এসব কিচ্ছু হবে না।

ঐশী ফোনটা রেখে চলে গেলো।আল্লাহ আমি ভাবলাম,দিয়াকে ব্যবহার করে শুধু শান্তি করবো।কিন্তু এয় মেয়েতো আমাকেই ব্যা করছে। ভাগ্যিস মারিয়ার দুষ্টু এসএমএস গুলি ডিলিট করে দিতাম।তা না হলে আজকে কুরবানি দিয়েই দিতো।এয় মেয়ে তো আমার গলায় মাছের কাটার মতো বিধে গেছে।

ওর কথা শুনে চলতে হবে।যদি আব্বুকে বলে দেয় তাহলে সর্বনাশ।রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে শুয়ে পরলাম।কালকে আবার কলেজ যেতে হবে।

সকাল বেলা ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে গুছিয়ে বের হলাম কলেজ যাওয়ার উদ্দেশ্যে।তখন পেছন থেকে ঐশী আমাকে ডাকলো।

ঐশীঃ কিরে কলেজ যাচ্ছিস নাকি।

আমিঃ আজ্ঞে।

ঐশীঃ চল আমিও যাবো।

আমিঃ না আপনার যেতে হবে না।যানতো ।

ঐশীঃ একবার বললাম যাবো,ব্যাস।আর একদম কথা নয়।যদি না নিয়ে যাস তাহলে ‌মামার কাছে‌ যাই।

আমিঃ আরে না না চলুন।

ঐশীঃ এয়তো ভালো ছেলে।একটু দারা আমি আসছি।

আল্লাহ দিয়াকে ব্লাকমেইল করার জন্য নিজে ফেসে গেলাম।

কিছুক্ষণ পর ঐশী বের হয়ে আসলো।আমি তো চোখ ফেরাতে না পারার মতো অবস্থা।

পার্ট কেমন লাগলো সবাই কমেন্ট করে জানাবেন।

আপনারা যত নাড়া দেবেন তত আগ্রহ বাড়বে।

তোমাদের জন্য গল্প লেখি।

গল্পের এক পার্ট লেখতে আমার ২-৩ ঘন্টা চলে যায় । আর তোমাদের একটা রিয়েক্ট দিতে এক সেকেন্ড লাগবে। তাই কেউ রিয়েক্ট না দিয়ে যাবেন না। আর ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। ভুল ক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

 

#চলবে,,,,,,,,,,

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

Smartwatch

Random Products